#মাইগ্রেন_এবং_ওয়েট_লস
আমাদের যাদের মাইগ্রেন আছে তাদের জন্য ওয়েট লস করাটা বেশ কষ্ট হয়ে যায়।কারণ মাইগ্রেন এমন একটা জিনিস যে খুব সহজেই ট্রিগারড হয়ে যায়।মাইগ্রেন থাকলে কীভাবে ওয়েট লস করবেন সে সম্পর্কে কিছু টিপস (সবই পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্স থেকে) :
১)ওয়েট লসের একমাত্র উপায় হচ্ছে ক্যালরি ডেফিসিট।এবং এইক্ষেত্রেই মাইগ্রেনের ভুক্তভোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যা ফেস করে।অল্প একটু ক্ষুধা লাগলেই অনেকের মাইগ্রেন অ্যাটাক শুরু হয়।মিল স্কিপ করার তো প্রশ্নই আসেনা।আর একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে মাইগ্রেন যাদের আছে তাদের ঘন ঘন ক্ষুধাও লাগে অন্যদের চেয়ে (পার্সোনাল অবজারভেশন)।এই কারণে আমাদের ক্যালরি ডেফিসিট বেশি হলে আমাদের কষ্ট হয়ে যায়।যেকোনো স্ট্রেসফুল কন্ডিশনে মাইগ্রেন অ্যাটাক শুরু হয়।যেহেতু ক্ষুধা লাগলে বডি একটা স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যায় তাই তখন আমাদের মাইগ্রেন অ্যাটাক হয়।কাজেই অন্যরা যেখানে ৫০০ ক্যালরি ডেফিসিট নিয়ে চলতে পারে,আমি সেখানে ২৫০-৩০০ ডেফিসিট নিলেও কষ্ট হয়ে যেত।প্রায়ই অ্যাটাক হতো।তাই আপনারা চেষ্টা করবেন একটু কম ডেফিসিট নিতে।যতটুকু ক্যালরি ডেফিসিট নিলে অ্যাটাক হবেনা ততটুকুই নিবেন।যদি ২০০ ক্যালরি ডেফিসিট হয় তাইই নিবেন।সেজন্য আপনাদের ওয়েট লস জার্নি অবশ্যই অন্যদের চেয়ে স্লো হবে।এটা মেনে নিতেই হবে।অন্যরা মাসে ৪ কেজি কমালে আপনারা হয়তো ১.৫ কেজি কমাবেন।তাতে সমস্যা তো নেই।একেবারেই ওজন না কমানোর চেয়ে মাসে এক কেজি কমাও ভালো।আমার ২৪ কেজি কমেছে ২ বছরে।অর্থাৎ মাসে ১ কেজি। 🙂
২)মাইগ্রেনের অনেক ট্রিগারিং ফ্যাক্টর আছে : অতিরিক্ত গরম/ঠাণ্ডা,ক্যাফেইন,কোল্ড ড্রিংক,আইসক্রিম,অতিরিক্ত চিনি,ডেইরি প্রোডাক্ট,অতিরিক্ত আলো/শব্দ,অতিরিক্ত মেন্টাল/ফিজিকাল স্ট্রেস।সব ফ্যাক্টরেই যে সবার অ্যাটাক হবে এমন কোন কথা নেই।খেয়াল করবেন কীসে কীসে আপনার অ্যাটাক হয়।সেগুলো যতটা পারেন অ্যাভয়েড করবেন।চা/কফিতে যদি আপনার অ্যাটাক হয় তো খাবেন না বা কম খাবেন।এগুলো না খেলেও ওজন কমবে।ডেইরি প্রোডাক্টে অ্যাটাক হলে প্রোটিনের চাহিদা অন্য খাবার দিয়ে পূরণ করবেন।
৩)বেশি পিপাসা লাগলেও আমার মাইগ্রেন অ্যাটাক হয়।তাই আমি বাইরে গেলে সবসময় পানি রাখি সাথে।শীত/গ্রীষ্ম যেকোন কালেই আমার অন্যদের চেয়ে বেশি পানি খেতে হয়।So stay hydrated.টোটাল ক্যালরি আর ম্যাক্রো অ্যাডজাস্ট করে লিকুইড খাবার তো বেশি খাবেনই,সাথে অবশ্যই বেশি করে পানি খাবেন।পানি খেতে পারিনা,ভালো লাগেনা – এসব বাহানা চলবেনা।সুস্থ থাকার জন্য আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব অনেক কাজই অনেকে সম্ভব করে।
৪)এক্সারসাইজ : এক্সারসাইজ করলে আমাদের গরম লাগে,শরীর ঘামে বলে অনেক পানিও বের হয়ে যায়।তাই অবশ্যই অবশ্যই এক্সারসাইজের মাঝে একটু ব্রেক নিয়ে পানি খাবেন।আর চেষ্টা করবেন দিনের অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা সময়টাতে এক্সারসাইজ করতে।জাম্পিং করা লাগে এরকম যেকোনো এক্সারসাইজে যদি আপনার মাইগ্রেন অ্যাটাক হয় তাহলে একেবারে বাদ দিয়ে দিবেন।ওজন কমানোর জন্য লাফালাফি করা লাগেনা এমন অনেক low impact cardio exercise আছে।ইউটিউব সার্চ দিলে পাবেন।বাইরে হাঁটতে গেলে যদি দেখেন গরমে মাইগ্রেন অ্যাটাক হয় তাহলে গরমকালে হাঁটা বাদ দিয়ে ঘরেই কার্ডিও করবেন।এক্সারসাইজের ১০-১৫ মিনিট আগে পাকা কলা/এক চামচ মধু/২-৩ টা খেজুর খেয়ে নিবেন।
৫)অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।কারণ ঘুম না হলেও বডিতে স্ট্রেস পড়ে।আর স্ট্রেস মানেই মাইগ্রেন অ্যাটাক।
৬)হুটহাট ক্ষুধা লেগে গেলে প্রোটিন খাবেন।আর যখন মাইগ্রেন অ্যাটাক হবে তখনো প্রোটিন রিচ খাবার খাবেন।আমি খেয়াল করেছি মাইগ্রেন অ্যাটাক হয়ে গেলে কার্ব খেলে আমার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়।
কোন ওষুধ সাজেস্ট করবোনা।কারণ সব ওষুধ সবাইকে দেওয়া যায়না।সেজন্য কোন ডক্টর দেখিয়ে নিবেন।
Dr.M.A Kader Molla
Collected from➤ 20 Minute Medical
#HealthPost
#migrainepain
#MigraineAndHeadache
Leave a Reply