রোগীদের সুবিধার্থে আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চালু হতে যাচ্ছে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার। এ বিভাগাটি চালুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১০ টি বিছানা। তবে ওই বিভাগের জন্য চাহিদাকৃত পাঁচ জন চিকিৎসক পেলেই অচিরেই এই ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারটি চালু করা হবে।
জানা যায়, বাংলাদেশে সর্বমোট ৪টি সরকারি হাসপাতালে এমন ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার রয়েছে। আর সেগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কক্সবাজার এবং ময়মনসিংহ সরকারি হাসপাতালে এই ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার রয়েছে। ওই চার জেলার পর পাঁচ নম্বরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ১০ টি বিছানার ছোট পরিসরে এই ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার চালু হতে যাচ্ছে।
সরজমিনে দেখা গেছে হাসপাতালের নিচতলায় জরুরী বিভাগের নিকটে টিকেট কাউন্টার সংলগ্নে দুটি কক্ষ একত্রিত করে আনুসাঙ্গিক কাজ শেষে বিভাগটি প্রস্তুত করা হয়। সেখানে ইর্মাজেন্সি রোগীদের জন্য পাতা হয়েছে ১০ টি উন্নত বিছানা।
খবর নিয়ে জানা গেছে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে কিংবা নানা সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে যেসব রোগীদেরকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হবে, ওইসব রোগীদের মধ্যে যাদের অবস্থা বেশি গুরতর তাদেরকে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারে রাখা হবে। সেখানে রোগীদের সেবা দিতে প্রতি শিফটে দু,জন করে নার্স ডিউটি করবে এবং পাঁচজন চিকিৎসক থাকবে বিভিন্ন শিপটে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের এই বিভাগটি চালু করার জন্য ইতিমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ জন চিকিৎসকের জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে অবগত করেছেন। একই সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিস্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আবেদন করেছেন। আবেদনের ওই ৫ জন চিকিৎসকের পদায়ন হলেই খুব অচিরেই এ বিভাগটি চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার এ কে মাহবুবুর রহমান জানান, ইমারজেন্সিতে যে ধরনের মারাত্মক রোগীরা আসবে তাদেরকে সেখানে রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। এদের মধ্যে অনেককেই দেড় থেকে ২ ঘন্টা সেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর যদি কোন রোগী সুস্থ হয়ে যান তারা সেখান থেকেই বিদায় নিতে পারবেন। আর যাদের অবস্থা বেশি মারাত্মক তাদেরকে সেখানে অবজারভেশনে রেখে তারপর বিভিন্ন ওয়ার্ডে রেফার করা হবে।
তিনি আরো জানান, ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারে আপাতত ১০ টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে প্রতি শিফটে দুইজন করে নার্স থাকবে এবং আলাদা আলাদা পাঁচজন চিকিৎসক ডিউটি করবেন। ওই বিভাগে পাঁচ জন চিকিৎসকের জন্য মন্ত্রী মহোদয়সহ আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। আর ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক পেয়ে গেলেই খুব অচিরেই ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ারটি চালু করা হবে।