অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার ছোবলে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমন সাতটি জেলাকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া প্রবল বর্ষণে পার্বত্য তিন জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে সতর্ক করা হয়েছে।
মহা বিপদ সংকেতের আওতায় চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের সাত জেলার মধ্যে রয়েছে- কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ভোলা।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় আট থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আর , ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ভোলা জেলা এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
শক্তি বাড়িয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের কাছাকাছি চলে এসে মহাপরাক্রমশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা।
রোববার ভোর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশের প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ঝড়, বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা ঘূর্ণন গতি রয়েছে ১৬০ কিলোমিটার, যা ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সর্বোচ্চ ৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরাতে পারে মোখা।
প্রবল বর্ষণে কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্নস্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
শনিবার ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা ঘূর্ণন গতি রয়েছে ১৬০ কিলোমিটার, যা ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।