চাঁদপুরে শিগগিরই ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০০ ফিট দৈর্ঘের আধুনিক নৌ-টার্মিনাল করা হবে। আর নৌ-টার্মিনালটির কাজ ২০২৫ সালের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
২৬ মে শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড লঞ্চ টার্মিনাল ভবনের স্থান পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে সদরঘাটের পরে যাত্রী সংখ্যা বিবেচনা করলে চাঁদপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। দীর্ঘদিন ধরে এ বন্দরের কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার এ বন্দরকে উন্নয়ন করতে যথেষ্ট আগ্রহী। চাঁদপুরবাসীর দিকে তাকিয়েই এ সরকার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উদ্যোগে একটি টার্মিনাল নির্মাণ করবে। সম্প্রতি আমরা চুক্তি সম্পাদক করেছি। আশা করি শিগগিরই আমরা কাজ শুরু করব। প্রকৃতপক্ষে কাজ শুরু করার আগে, এখানকার টার্মিনালটি আগে স্থানান্তর এবং এখানকার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য আজ আমাদের এখানে আসা।’
নৌপরিবহন চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমানে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে চলে আসা যায়। তার পরও কিন্তু আমরা লক্ষ করেছি, চাঁদপুরে লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার পরিবর্তন হয়নি। আমি মনে করি চাঁদপুরে নৌপথে যাত্রা অনেক নিরাপদ, আরামদায়ক একং সাশ্রয়ী। এ জন্যই মানুষ নৌপথটিকে বেছে নেয়। ভবিষ্যতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে নৌপথে যাত্রা নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ীর বিষয়টি জরুরি। কারণ বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষের জন্য লঞ্চে যে সুবিধা, তা কিন্তু বাসে বা অন্য কোথাও নেই। এসব থেকে বিবোচনা করে মনে হচ্ছে, ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথে যাত্রীর সংকট হবে না।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ, চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক সাহাদাত হোসনেসহ বিআইডব্লিউটিএর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।