হিস্টিরিয়া রোগের পেছনে কারণগুলো হলোঃ
✔️ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা – ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকে বা দুশ্চিন্তা করে তাহলে এই সমস্যাটি তার মধ্যে প্রতীয়মান হতে পারে।
✔️ শারীরিক অলসতা- হিস্টিরিয়া রোগের অন্যতম কারণ হলো শারীরিক অলসতা। অর্থাৎ যারা দীর্ঘ সময় ধরে কাজের প্রতি অনীহা দেখায় এবং সারাক্ষণ অলস সময় পার করে তাদের মধ্যে এই রোগটি দেখা যেতে পারে।
✔️ বেশিরভাগ সময় ভয় বা নানারকম ফোবিয়া জনিত কারণে হিস্টিরিয়া হতে পারে।
✔️ পরিবারে মধ্যে কোনো ব্যক্তি বা বংশের কেউ আগে থেকে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে তার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
✔️ কোনো ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিকভাবে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলে তার পার্শপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হিস্টিরিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
✔️ মস্তিষ্কের সমন্বয়হীনতা। মানব মস্তিষ্কের দুইটি অংশ থাকে। একটি হলো ডান পাশ যেটাকে বলা হয় Intuitive Side এবং অপরটি হলো বাম পাশ যাকে বলা হয় Rational Side। মানব মস্তিষ্কের এই দুই অংশের ক্রিয়ার মধ্যে অসন্বয় ঘটলে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
✔️ ভয়, দুশ্চিন্তা, হতাশা, মানসিক আঘাত, অনিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন, মানসিক অবসাদ, ট্রুমাটিজম, ঘনিষ্ট কারোর মৃত্যুশোক, দীর্ঘকালীন শারীরিক অসুস্থতা অথবা প্রেমে প্রত্যাখ্যানের কারণে হিস্টিরিয়া রোগ দেখা দিতে পারে।
✔️ মানুষের মন যখন পরিবেশগত দ্বন্দ্ব বা চাপের মুখোমুখি হয় তখন এই রোগের আশঙ্কা দেখা দেয়। যেমনঃ কাউকে অকারণে দোষী প্রমাণ করার চেষ্টা করা, শারীরিক, মানসিক বা যৌন নিপীড়িন করা ইত্যাদি কারণে হিস্টিরিয়া রোগ হতে পারে।
✔️ এছাড়াও স্ট্রেস, ট্রুমাটিজম, হস্তমৈথুন, ব্রেইন টিউমার ইত্যাদি কারণেও হিস্টিরিয়া রোগ হতে পারে।
👉 যেকোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিলে অতি দ্রুত একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন ।
Leave a Reply