#কোরবানির_ঈদ_পরবর্তী_জীবনযাপন
পবিত্র কোরবানি ঈদের পর আবার সবাই কাজে ফিরে আসতে শুরু করেছে। ঈদে সবার পরিবারের সাথে অনেক প্রিয় সময় কাটে এবং পরিবারের সবাই একত্রিত হওয়ায় খাবার তালিকায় থাকে বাহারি নানা পদ। তাই দেখা যায় ঈদে অনেক চেষ্টা করার পরও ডায়েট মানা সম্ভব হয় না। তাইতো ঈদের পর নিজেকে সুস্থ রাখতে, কাজে ফিরে আসার মতই নিজের সুস্থতার জন্য যে খাবার তালিকা ও জীবনযাপন নির্ধারণ করা আছে যেটিতে ফিরে আসতে হয়।
১। নতুনভাবে খাবার তালিকা সাজানোঃ কোরবানির ঈদে যেহেতু তেল ও চর্বিযুক্ত খাবারের আধিক্য থাকে তাই ঈদ পরবর্তী খাবার তালিকা সাজানোর সময় যে খাবারগুলোতে তেল ও চর্বি কম সে খাবারগুলোই খাবার তালিকায় রাখতে হবে। যেমনঃ খাবার তালিকায় নিয়মিত ওটস, লাল চাল বা আটা, বিভিন্ন রকম ডাল, সয়াসবজি, মাশরুম রাখতে হবে।
২। সালাদের ভূমিকাঃ শসা, গাজর, টমেটো, লেটুস, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, লেবু এগুলো দিয়ে প্রতি বেলার খাবারের সাথে একবাটি মিক্স সালাদ রাখতে হবে । সালাদে প্রচুর আশঁ থাকে যা চর্বি কমাতে সহায়তা করবে।
৩। খাবার তালিকায় ফল রাখুনঃ মিক্স সবজি সালাদের মতই খাবার তালিকায় যোগ করতে হবে নানা রকম মৌসুমি ফলের মিক্স সালাদ। যেমনঃ আম, লিচু, জাম, কলা, আনার, আপেল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন নাস্তার জন্য মজাদার ফলের সালাদ। মৌসুমি ফলে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দূর করে বার্ধক্যের ছাপ এবং কমায় শরীরে থাকা বাড়তি কোলেস্টেরল।
৪। পানীয় জাতীয় খাবার গ্রহণের পরিমাণ ঠিক রাখুনঃ যেহেতু এবারের ঈদ গরমের সময় হলো তাই ঈদে ঘোরাঘুরিতে এবং কাজের চাপে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিষয়টা ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। নাস্তায় চিনি ছাড়া মৌসুমি ফলের রস, বা বিট, গাজর, শসা, লেবু ইত্যাদির রস নিয়ম করে খেতে পারেন এতে শরীর ফিরে পাবে তার সতেজটা এবং বাড়বে কাজ করার আগ্রহ।
৫। নাস্তার সময় সচেতন থাকাঃ কোরবানির ঈদে যেহেতু মাংসের তৈরী নানা পদ থাকে তাই ঈদ পরবর্তী সময়ে মাংসের তৈরী পদ্গুলো বাদ রাখাই শ্রেয়। বিশেষ করে নাস্তার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বার্গার, কাবাব, শর্মা এই জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করে যার বেশিরভাগ অংশই থাকে মাংসের তৈরী। তাই নাস্তায় ঘরে তৈরী খাবার যেমন চটপটি, ফুচকা, সবজি পাস্তা, চিড়ার পোলাও, সবজি চপ, মাশরুম স্যুপ, মাশরুম হালিম, সয়া হালিম, ছোলা ভুনা ইত্যাদি খাবার রাখতে পারেন।
৬। শারীরিক পরিশ্রমঃ ঈদে দেখা যায় নানা রকম মজাদার খাবার খাওয়ার ফলে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায় তাই ঈদের পর নিয়ম করে হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার, জগিং, ইয়োগা যার জন্য যেটি করতে সুবিধা হয়।