Apollotv24.com
#শীতে_হার্টের_রোগীদের_যত্ন
শীত মৌসুম চলছে। হালকা ঠান্ডা ধীরে ধীরে তীব্র ঠান্ডায় রূপ নিচ্ছে। গ্রামের দিকে শীতের আমেজ এখন শহরে প্রবেশ করেছে। প্রতি বছর শীতে আমরা হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা বাড়তে দেখি। শীতের সাথে হার্টের রোগীদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। শীতে হার্টের রোগীদের আর্টারি সংকুচিত হয় তখন রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। তাপমাত্রার কারণে রক্তনালী ছোট হয় ফলে ব্লাডপ্রেশার বা রক্তচাপ বেড়ে যায়। এবং অ্যানজাইনা বা হার্ট অ্যাট্যাকের ঝুঁকি বাড়ে। প্রথমত শারীরিক ব্যায়াম না করলে, অতিরিক্ত তেলচর্বিযুক্ত খাবার খেলে এবং ধূমপান বা আলকোহল পানের অভ্যাস থাকলে হার্ট অ্যাট্যাকের হার অনেক বেড়ে যায়।
শীতে নিজের হৃদয় নিজে যত্ন নিন। এজন্য যা যা করতে হবে-
১। নিজেকে উষ্ণ রাখুন। খুব ভোর কিংবা সন্ধ্যায় ঠান্ডা কুয়াশায় হাঁটবেন না। শীতের পোশাক, মোজা, মাফলার ব্যবহার করুন। হালকা কুসুম গরম পানি পান এবং গোছলে ব্যবহার করতে পারেন।
২। শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকুন। প্রতিদিন হাঁটুন এবং ব্যায়াম করুন। সূর্যের আলো শরীরে লাগান।
৩। স্বাস্থ্য সম্মত সুষম খাবার খান। অতিরিক্ত তেলচর্বিযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া, মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। ট্রেডিশনাল বা সামাজিকতার কারণে শীতে উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার যেমন, হাঁসের মাংস, গরু, খাসি, ঘন দুধের পিঠা, পায়েস ইত্যাদি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে এবং শারীরিক পরিশ্রম কমে ফলে যেকোন সময় অ্যানজাইনাতে আক্রান্ত হন। তাই এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ সময় এ,বি,সি জুস যেমন, বিট, গাজর, আপেল সাথে এক টুকরা আদা এবং লেবু দিয়ে খেতে পারেন। অ্যান্টিওক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি হার্টের জন্য খুব ভালো।
৪। নেশা জাতীয় যেকোন বস্তু থেকে দূরে থাকুন। ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
৫। হার্টের রোগীরা নিয়মিত ফলোআপে থাকুন। যেমন, ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসার, কিডনি এসব পরীক্ষা নিয়মিত করুন ও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খান।
নিজে সচেতন হোন এবং লাইফস্টাইল মেনে চলুন। শীতের উষ্ণতা যেন হার্টের রোগীদের কাবু করতে না পারে তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। খাদ্য সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
লায়ন ডাঃ এম এ কাদের মোল্লা।
Leave a Reply