দৈনিক গোয়েন্দা সংবাদ।
জাতীয়
ব্যারিস্টার সুমন
আরও কিছুদিন সময় পেলে বেনজীর গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৪
আরও কিছুদিন সময় পেলে বেনজীর গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তা তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি জানান, দুদক অনুসন্ধান শুরু না করলে তিনি হাইকোর্টে যাবেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর চাকরি করেছেন। চাকরিকালীন তিনি এক হাজার ৪০০ বিঘা জমি কিনেছেন গোপালগঞ্জে। আরও কিছুদিন সময় পেলে তিনি গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। এর আগে তিনি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তা তদন্ত করতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন।
বেনজীরের ‘দুর্নীতি কাণ্ডে’ দুদকের অনুসন্ধান চান ব্যারিস্টার সুমন
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আরও কিছুদিন পাইলে তো গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন মনে হয়। আমাদের সবাইকে আল্লাহ বাঁচাইছে উনি বেশিদিন সময় পাননি। দেখা যাচ্ছে বৈধ বা অবৈধপথে উনি যে সম্পদ বানাইছেন, আর কিছুদিন হলে হয়তো উনার জমির ওপর দিয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যাওয়া লাগতো।’
তিনি বলেন, ‘শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বেনজীরের স্ত্রী ও দুই মেয়ে। দুই লাখ শেয়ার কিনেছেন। রিসোর্টের জন্য এলজিআরডি ৭ কিলোমিটার রাস্তা করে দিয়েছে। বেনজীর আহমেদের সম্পদের ফিরিস্তি পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানলাম। জানার পর আমার কাছে মনে হয়েছে এটা বিরাট একটা অশনি সংকেত। যে রিপোর্ট পত্রিকায় আসছে, অনেক ভালো এভিডেন্স ছাড়া নিশ্চয়ই এটা করার কথা না।’
প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাবেক এ আইজিপির ফেসবুক লাইভ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘গতকাল দেখলাম বেনজীর আহমেদ লাইভ করেছেন। লাইভে উনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে একজন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন প্রায় এক কোটি ৭৪ লাখ টাকা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে। কাগজের হিসাবে আসছে। আর বেহিসাবে কী আসছে এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। উনার মেয়ে ও উনার স্ত্রীর ইনকাম সোর্স নেই। প্রায় ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি টাকার সম্পদ উনি বানাইছেন।’
তিনি বলেন, ‘এত সম্পদের রিপোর্ট আসার পর দুদক ব্যবস্থা নেবে বলে ভেবেছিলাম। দুদকের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, উনারা চিন্তাভাবনা করছিলেন। কিন্তু চিন্তাভাবনাটা কোথায় থামলো সেটা আমার জানা নেই। দুদক যদি তার কাজ না করে, নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দুদককে বলা।’
‘আমি বলছি না উনি দুর্নীতি করেছেন। উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে। এটা দেশের মানুষের সামনে পরিষ্কার হওয়
জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিনে বেনজীরের জমি থাকা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘কোনো জায়গা আর বাকি নেই। আগে শক্তিশালী মানুষ যে জায়গায় যেতেন একটা করে বউ রেখে আসতেন। তিনি (বেনজীর) যেই জায়াগায় গেছেন সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদকে আমি আবেদন করলাম। দুদক যদি আমলে না নেয়, আমার যা যা করা দরকার আমি তা করবো।’
Leave a Reply