1. admin@dailygoyendasongbad.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে। হাকিমপুর থানা পু্লিশ কর্তৃক হিলিতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার।। পরিবেশ দূষন করে আসছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নং পূর্ব ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের পাচুর বাড়ির লোক জন। আদানির বকেয়া ১৭ কোটি টাকা এ মাসেই পরিশোধ করবে সরকার। চাঁদপুর শহরে অস্ত্র নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের মহড়া, আটক ৮ যে সব কারণে নিষিদ্ধ হলো ছাত্র লীগ। ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরিক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম। পিতা-মাতার হক আদায়ে সন্তানের যা করণীয়। ফরিদগঞ্জ সি.এইচ.সিপি’র সভাপতি সবুজ পাটোয়ারী সম্পাদক মোশাররফ। লিভ-ইনের প্রস্তাবে মায়ের অনুমতি নিতে বলেন কারিনা

রাসেলস ভাইপারে কি সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে।

দৈনিক গোয়েন্দা সংবাদ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪
  • ৫৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

দৈনিক গোয়েন্দা সংবাদ।

নাড়ালেই সাপ সরে যায়। কৃষকরা গামবুট পরলে এবং জমিতে নামার আগে লাঠি দিয়ে নাড়ালেই এরা সরে যাবে। তাই অপ্রয়োজনীয় আতঙ্কের কোনো কারণই নেই। তবে সতর্ক অবশ্যই থাকতে হবে।

রাসেলস ভাইপারে কি সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্যমতে, গত বছর সারা দেশে ৪ লাখ সাপে কামড়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ মারা গেছে। যাদের বেশিরভাগই কোবরা ও কেউটে প্রজাতির সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন। তবে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে ঠিক কতজন মারা গেছেন, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে জানা গেছে, চলতি বছর রাসেলস ভাইপারের কামড়ে অন্তত প্রায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যেসব জেলায় বিচরণ রাসেলস ভাইপারের: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রকল্প ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের প্রায় ২৭টি জেলায় রাসেলস ভাইপার আছে। ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশের অন্তত ১৭টি জেলায় রাসেলস ভাইপারের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চল, গড়াই এবং পদ্মা-তীরবর্তী অঞ্চলে বেশি অবস্থান ছিল রাসেলস ভাইপারের। এ ছাড়া সে সময় দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে এর আওতা আরও বেড়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শরীয়তপুর, ঝিনাইদহ, রংপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, রাজবাড়ী, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, ভোলা, মুন্সীগঞ্জ, দিনাজপুর, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি দেখা গেছে।

হঠাৎ কেন রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব: সাপটির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত বাস্তুতন্ত্র বিনাশকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যেসব প্রাণী রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রকৃতিতে সেসব প্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। কিছু সাপ যেমন শঙ্খচূড়, খইয়া গোখরা, কালাচ বা কেউটে, শঙ্খিনী রাসেলস ভাইপারসহ অন্যান্য সাপ খেয়ে থাকে। বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল খেয়ে থাকে রাসেলস ভাইপার। এ ছাড়া তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এই সাপ খেতে পারে। বন্যপ্রাণী দেখলেই তা নিধন করার প্রবণতা, কারণে অকারণে বন্যপ্রাণী হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের সর্বত্রই এসব শিকারি প্রাণী আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফলে রাসেলস ভাইপার অত্যধিক হারে প্রকৃতিতে বেড়ে গেছে।

রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বন মন্ত্রণালয়ের: রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক নয়; বরং সাবধানতা ও সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। জননিরাপত্তা এবং জনকল্যাণ নিশ্চিতে দেওয়া হয়েছে দিকনির্দেশনা। এতে বলা হয়েছে, রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, মানুষের সঙ্গে এই সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই সাপ সাধারণত নিচু ভূমির ঘাসবন, ঝোপজঙ্গল, উন্মুক্ত বন, কৃষি এলাকায় বাস করে এবং মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। সাপটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে গেলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

করণীয়: সাপের কামড় এড়াতে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন। লম্বা ঘাস, ঝোপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকুন। গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢোকাবেন না। সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট এবং লম্বা প্যান্ট পরুন। রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চলাইট ব্যবহার করুন। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখুন। পতিত গাছ, জ্বালানি লাকড়ি, খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন বা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে অবহিত করুন। সাপে কামড় দিলে দংশিত অঙ্গ নড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে দংশনে বসে যেতে হবে, হাঁটা যাবে না। হাতে দংশনে হাত নাড়াচাড়া করা যাবে না। হাত-পায়ের গিরা নাড়াচাড়ায় মাংসপেশির সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে বিষক্রিয়া করতে পারে। আক্রান্ত স্থান সাবান দিয়ে আলতোভাবে ধুতে হবে অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে মুছতে হবে। ঘড়ি বা অলঙ্কার বা তাবিজ, তাগা ইত্যাদি থাকলে খুলে ফেলুন। দংশিত স্থান কাটবেন না, সুঁই ফোটাবেন না কিংবা কোনোরকম প্রলেপ লাগাবেন না বা অন্য কিছু প্রয়োগ করা উচিত নয়। সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যান। আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক গোয়েন্দা সংবাদ
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park