দৈনিক গোয়েন্দা সংবাদ
স্টাফ রিপোর্টারঃ- ইদানিং লক্ষ্য করা যাইতেছে যে ফরিদগঞ্জ জোনাল কামতা সাব জোনাল অফিস হাইমচর সাব জোনাল অফিস তথা চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২ এর আওতাধীন বিদ্যুতের অনিয়ম সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের নিকট আসছে।আমরা যখন অভিযোগ বিষয়ে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নিতে যাই তখন অভিযোগ কারী ব্যক্তি তার আগের অবস্থানে থাকে না।সাক্ষ্য প্রমান উপস্থাপন করে না।এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে।এতে আমরা অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না।আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে বিব্রত বোধ করি।এতে যারা অনিয়ম ঘুষ দূর্নীতি তে জড়িত তারা পার পেয়ে যায়।আরও উৎসাহিত হয়।যদি কেউ কোন বিষয়ে অভিযোগ করেন তবে তা প্রমানের দায়িত্ব তার।এখন হতে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের কারীর বিরুদ্ধে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আইনগত ব্যবস্থা নিবে।যথাযথ বস্তুনিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করবে।আমার নিকট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইল নেটওয়ার্কে যে অভিযোগ আসে তা কল রেকর্ড থাকে।পরবর্তীতে তা অস্বীকার করার সুযোগ নাই।প্রত্যেকটা বিষয় আমি এড্রেস করি যথাযথ কতৃপক্ষকে অবহিত করি।এর পর কারোই দায় এড়ানোর সুযোগ নাই।আমি দূর্নীতি করি না তা প্রশ্রয়ও দেই না।আমার পিবিএস এর জিএমও তাই।আমার জানামতে অফিস প্রধানরাও দূর্নীতি মুক্ত।তারপরও যদি কেউ এসব করে তাদের বিষয়ে আমাদের নীতি জিরো টলারেন্স।আপনারা নির্ভয়ে বস্তুনিষ্ট ভাবে প্রমান সহ তা তুলে ধরবেন।নিম্ন পর্যায়ে ছোট খাটো কিছু অনিয়ম দূর্নীতি হয় যা আমাদের অজানা নয়।আমরা এসব বিষয় শক্তহাতে নিয়ন্ত্রণে বদ্ধ পরিকর।সমিতি বোর্ড এসব বিষয়ে খুবই কঠোর।সে যেই হোক না কেন আমাদের সমিতির নিয়ম আইন কানুন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ সেবার বিনিময়ে যদি কোন অর্থ নেয় তার যথাযথ রশিদ দেয়।রশিদ ছাড়া কোন লেনদেন হলেই তা অবৈধ।এহেন লেনদেন কারীকে পাকড়াও করে আইনের হাতে তুলে দিবেন।প্রত্যেক সেবার বিপরীতে টাকা সরকারি ভাবে নির্ধারিত। এর বাইরে কোন টাকা পয়সা কাউকে দিবেন না।দিলে আপনি নিজেই প্রতারিত হবেন।এর দায় সমিতি বহন করবেনা।ঘুষ দাতা ও গ্রহন কারী উভয়ে সম অপরাধে অপরাধী। দায় এড়ানোর সুযোগ কারো নাই।তারপরও যদি কেউ অপরাধে যুক্ত হয় তার নাম পদবী কোন অফিসে চাকরি করে এসব তথ্য সহ আমাকে ও জিএম মহোদয়কে অবহিত করবেন।ইলেকট্রিয়ানগন পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী না।তাদের সেবা প্রদানের সরকার নির্ধারিত রেট আছে।অতিরিক্ত অর্থ দাবী করার সুযোগ নাই।করলে যথাযথ কতৃপক্ষকে জানাবেন।কতৃপক্ষ তাদের পারমিট বাতিল সহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।সকল অপকর্মের হোতা দালাল গন।এদের শরনাপন্ন হবেন না।নিজের কাজ নিজে করুন।খরচ বাঁচান।ঘুষ দূর্নীতি অনিয়ম কে না বলুন।বিদ্যুৎ বিভাগের ৯০% কাজ এখন অনলাইনে করা যায়।ধন্যবাদ সবাইকে।অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাঁড়ান।
Leave a Reply