1. admin@dailygoyendasongbad.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে। হাকিমপুর থানা পু্লিশ কর্তৃক হিলিতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার।। পরিবেশ দূষন করে আসছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নং পূর্ব ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের পাচুর বাড়ির লোক জন। আদানির বকেয়া ১৭ কোটি টাকা এ মাসেই পরিশোধ করবে সরকার। চাঁদপুর শহরে অস্ত্র নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের মহড়া, আটক ৮ যে সব কারণে নিষিদ্ধ হলো ছাত্র লীগ। ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরিক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম। পিতা-মাতার হক আদায়ে সন্তানের যা করণীয়। ফরিদগঞ্জ সি.এইচ.সিপি’র সভাপতি সবুজ পাটোয়ারী সম্পাদক মোশাররফ। লিভ-ইনের প্রস্তাবে মায়ের অনুমতি নিতে বলেন কারিনা

বেনজীরের পাসপোর্ট নিয়ে ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ।

দৈনিক গোয়েন্দা সংবাদ ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪
  • ১৯৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ
বেনজীরের পাসপোর্ট নিয়ে ১৫ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
যেভাবে চার পাসপোর্ট
বেনজীরের পাসপোর্ট নিয়ে ১৫ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
সরকারি কর্মকর্তা হয়েও পরিচয় গোপন করে নেন সাধারণ পাসপোর্ট

বেনজীরের পাসপোর্ট নিয়ে ১৫ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ
বেনজীর আহমেদ

দৈনিক গোয়েন্দা সংবাদ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪ | ০১:২০ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ | ০৭:৫০

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ পরিচয় আড়াল করে ধারাবাহিক চারটি পাসপোর্ট নিয়েছেন ‘বেসরকারি চাকরিজীবী’ হিসেবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য।

বেনজীর আহমেদের পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করতে গতকাল মঙ্গলবার দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান টিমের সদস্যরা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং পুলিশের আট কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাবেক আইজিপি বেনজীর ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম পাসপোর্ট নেন। সেই আবেদনে পেশার ঘরে ‘সার্ভিস’ উল্লেখ করে সাধারণ ক্যাটেগরির সবুজ পাসপোর্ট নেন তিনি। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর অফিসিয়াল (নীল) পাসপোর্ট নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকলেও তিনি তা নেননি। উচ্চ পদের কর্মকর্তা হিসেবে তিনি লাল পাসপোর্ট নিতে পারতেন; সেটিও নেননি। বেনজীর পাসপোর্ট নবায়ন করেছেন চারবার।

অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে অফিসিয়াল পাসপোর্ট না নিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে আড়াল করেছেন প্রকৃত পরিচয়। গতকাল পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাসহ ১৫ জন দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের কাজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে জানা যায়। দুদক বলছে, পাসপোর্ট তৈরিতে জালিয়াতির তথ্য-প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। টিমের অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী ও মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আটজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– ঢাকার আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, একই অফিসের সাবেক পরিচালক মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, উপসহকারী পরিচালক মো. মোতালেব হোসেন, বেনজীরের পাসপোর্ট-সংক্রান্ত এনওসি স্বাক্ষরকারী পুলিশের সাবেক ডিআইজি আবদুল জলিল মণ্ডল এবং পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মী জে এস সাইদুর রহমান, মো. মহসিন ইসলাম, আবু নাঈম মাসুম ও সুবাস চন্দ্র রায়।

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী জীশান মীর্জা, মেয়ে ফারহিন রিসতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। গত ২২ এপ্রিল এই অনুসন্ধান শুরু হয়। অভিযোগ অনুসন্ধানে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে দুদক তলবি নোটিশ পাঠায় গত ২৮ মে। তবে তার আগে গত ৪ মে তিনি সপরিবারে দেশত্যাগ করেন।

গত ২৩ ও ২৬ মে আদালত বেনজীর, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ, ব্যাংক হিসাব এবং শেয়ার জব্দ ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন। পরে তাদের নামে থাকা ৮৩টি দলিলে ৬২১ বিঘা জমি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ এবং ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের মালিকানার কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

বেনজীরের চার পাসপোর্ট
বেনজীর আহমেদ ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) জন্য প্রথম আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৪ অক্টোবর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে তাঁর নামে একটি পাসপোর্ট ইস্যু হয়, যার নম্বর AA1073252। তাঁর এই আবেদনে পেশার ঘরে ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘সার্ভিস’; যার মাধ্যমে তিনি সরকারি নাকি বেসরকারি কর্মকর্তা, তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় না। তবে বেনজীরের ওই আবেদনের সঙ্গে যুক্ত ছিল একটি অনাপত্তিপত্র। আবার আবেদন ফরমের ওপরে অফিসিয়াল পিপিআর লেখা থাকলেও পাসপোর্টটি ‘প্রাইভেট সার্ভিস’ লিখে ইস্যু হয়, যার অনুমোদন দেন ওই সময় দায়িত্বে থাকা পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক ফজলুল হক। বেনজীরের এই পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর।

২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বেনজীর আহমেদের দ্বিতীয় এমআরপির আবেদন অনুমোদন করেন পাসপোর্ট কার্যালয়ের তৎকালীন পরিচালক মুন্সী মূয়ীদ ইকরাম। পাসপোর্ট ইস্যু হয় ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, যার নম্বর BC0111070। এই পাসপোর্টে তাঁর পেশা উল্লেখ ছিল ‘প্রাইভেট সার্ভিস’।

বেনজীরের তৃতীয় এমআরপির আবেদন অনুমোদন করেন আগারগাঁও পাসপোর্ট কার্যালয়ের তৎকালীন পরিচালক এ টি এম আবু আসাদ, যার নম্বর BM0828141।
সবশেষ ২০২০ সালের ৪ মার্চ একইভাবে পরবর্তী ই-পাসপোর্টের আবেদন করেন বেনজীর, যেখানে ফরমে উল্লেখ ছিল ‘প্রাইভেট সার্ভিস’। এই আবেদনে অনুমোদন দেন আগারগাঁও পাসপোর্ট কার্যালয়ের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। পাসপোর্ট নম্বর B00002095 (EPP)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক গোয়েন্দা সংবাদ
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park