মিশন রোড, স্টেড়িয়াম এলাকা, টেকনিক্যাল এলাকা, ওয়ারল্যাছ, চাঁদপুর-রায়পুর সেতু, পুরাণবাজারের রয়েজ রোড, লোহারপোল, রামদাসদী রোড, রগুনাথপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় তাদের বিচরণ সবচেয়ে বেশি।
ভদ্রসমাজের হাঁটাচলা কিংবা অবসর যাপনের উন্মুক্ত স্থানগুলোতে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ফলে এসব স্থানে ভদ্রসমাজের সমাগম অনেকটাই কমে আসছে। এদিকে পুলিশী অভিযানে এসব কিশোর গ্যাং সদস্য আটক হলেও রাজনীতিক ততবির আর দরবার পার্টির মাধ্যমে তারা সহযেই ছাড়া পেয়ে যায়। পরে ওই দরবার পার্টির মধ্যস্থতায় অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ঘটনাগুলো মামলাপর্যন্ত গড়ানোর আগেই সমাধান বা ধামাচাপা দেয়া হয়। তাছাড়া প্রতিটি এলাকায় কিশোর গ্যাংদের রাজনীতিক ‘বড় ভাইদের’ শেল্টার তো রয়েছেই। এসব কারণে পুলিশের তৎপরতা থাকলেও কিশোর গ্যাং দৌরাত্ম্য বন্ধ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুর রশিদ Apollo tv24 জানান, ‘মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মত কিশোর গ্যাংদের বিষয়েও পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স নীতিতে রয়েছে। এসব অপরাধগুলো আমরা কঠোর অবস্থানে থেকে প্রতিরোধ করছি।’
তিনি আরো বলেন, কিশোর গ্যাং সদস্যদের মারামারির ঘটনার কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হলেও ভুক্তভোগীরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে চায় না। ভুক্তভোগীরা আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে হয়। সচেতন মহলের দাবী কিশোর গ্যাংয়ের এই অপ্রত্যাশিত বিস্তার রোধে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে অভিভাবক, রাজনীতিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। তা না হলে মাদকের মত কিশোর গ্যাংও আগামীতে চাঁদপুরের ভাগ্যাকাশে অন্ধকার ছড়াবে।
Leave a Reply