Apollotv24.com
২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক যুগশ্রষ্টা প্রাণপুরুষ, বিংশ শতাব্দীর এক অগ্রণী সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনচেতা এই মানুষটি সবঅর্থেই ছিলেন আপোষহীন সংগ্রামী। জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তাঁর লেখনী ছিল শাণিত। তিনি বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ ও কালজয়ী। কাজী নজরুল ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতন সহ্য করেও তাঁকে সত্য উচ্চারণ থেকে নিবৃত্ত করা যায়নি। রাজরোষে পড়া সত্বেও সত্য ও সুন্দর সৃষ্টির প্রয়াস থেকে তিনি কখনোই পিছপা হননি। তাঁর সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত।সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি একজন কবি। নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাঁর সাহিত্যে উচ্ছাস ও স্বত:স্ফুর্ততা এক অনন্য সৌন্দর্যময়তায় বিশিষ্ট শিল্পরুপ ধারণ করেছে। তিনি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেন। অন্তর্গত সুন্দরের প্রেরণাতেই তিনি অন্যায়, অবিচার ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন।
তাঁর কলম সকল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এক ক্ষুরধার অস্ত্র হয়ে থাকবে। তিনি লিখেছেন ‘কৈরে কৈরে স্বৈরাচারী বৈরী এই বাংলার’? তাঁর কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তিনি ছিলেন একাধারে শ্রমিক, সৈনিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নির্ভিক কণ্ঠস্বর এবং একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনিই উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তাঁর কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। এছাড়াও তাঁর প্রকৃতি, মানবপ্রেম ও ভক্তিমূলক গান অনন্য বৈচিত্রময় সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে এক অনবদ্য স্বপ্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে, যে গানের আবেদন চিরকালীন ও অবিনশ্বর।
তাঁর সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে চিরদিন স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমি জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে জান্নাতেের উচ্চ মাকাম দান করুক। Apollotv24.com পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
Leave a Reply